মোঃ জামিল হোসেন,ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি : আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দামও বেশ ভালো। এতে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলা মূলত খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও ধান উদ্বৃত্ত উপজেলা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমন ধানের সোনালী শীষে ভরে গেছে কৃষকের ক্ষেত। বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনালি ধানের শীষ। মৌ মৌ গন্ধে চারদিক মুখরিত। কৃষাণ কৃষাণীরা ধান কাটা, মাড়াই, সিদ্ধ দেয়া, শুকানো ও গোলায় তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে। ধান কাটা ও মাড়াই কাজে কৃষকের পাশাপাশি ব্যস্ততা বেড়েছে দিন মজুরদেরও।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে আমন চারা লাগাতে দেরি হলেও পরবর্তী সময়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে।
সংসারের সারা বছরের খোরাকী, গরুর খাদ্য হিসেবে খড়ের চাহিদা পূরণ ও ধানের দাম ভালো পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিয়েছে।
ভোলাহাট উপজেলার আলালপুর গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হক জানান, আমন ধান কাটার ধুম পড়েছে। এবার ধানের ফলন ভালো হওয়ায় এবং বাড়তি দাম বেশী পাওয়ায় আমরা আনন্দিত।
উপজেলার চাঁন শিকারী গ্রামের কৃষক আবুল মিয়া জানান, আমি এবার ২০ কাটা জমিতে ধান চাষ করেছি। প্রতি কাঠায় ৫ মন করে ফলন পেয়েছি। প্রতি মণ ধান ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকায় বিক্রি করতে পারছি। এতে আমরা খুশি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এবছর ভোলাহাট উজেলায় আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল ২৪ হাজার মেট্রিটন তবে লক্ষমাত্রা ছড়িয়ে আশা করা হচ্ছে ২৭ হাজার মেট্রিক টন।
চলতি রোপা আমন মৌসুমে ভোলাহাট উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫১০ হেক্টর বেশি জমিতে শস্যটির আবাদ করা হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। শুরু হয়ে গেছে সোনালি ধান কাটা। কৃষকের মুখে তাই ফুটেছে হাসি।
ভোলাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সুলতান আলী বলেন, এবার উজেলায় আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ২৪ হাজার মেট্রিক টন। এ উজেলায় আবহাওয়া ভালো হওয়ায় ধানের খেতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ হয়নি।
তিনি আশা করেন, এবার আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
Leave a Reply